নেত্রকোণা প্রতিনিধি
অবৈধভাবে চালু হওয়া ইটভাটার কালো ধোঁয়ার বিষাক্ত গ্যাসে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রোগবালাইসহ পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। নেত্রকোণায় কোনো বিধি-বিধান ও প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই ইটভাটা স্থাপন ও সেসবে ইট পুড়িয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ ভাটার জেলা প্রশাসকের অনুমোদন বা পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। স্থানীয় প্রশাসনের এসব ইটভাটা নেই কোনো উচ্ছেদের পদক্ষেপ।
নেত্রকোণা পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোণা জেলার আওতাধীন বর্তমানে মোট ৩৯টি ইটভাটা রয়েছে এর মধ্যে ৬টি ভাটার ছাড়পত্র আছে বাকি ৩৩টির কোনো ছাড়পত্র বা বৈধতা নেই। ইতোমধ্যে ৩৩টি অবৈধ ইটভাটার মধ্যে ৩৬টির বিরুদ্ধে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর ১৫(১) নং টেবিলের ক্রমিক ১২ নং ধারায় স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিবেশ অধিদফতর মামলা দায়ের করেন এবং ৫২টির মধ্যে ১২ টির বন্ধ করা দেয়া হয়েছে। এদিকে ভাটার বিধি-বিধান রয়েছে তবুও ইটভাটার মালিকরা কোনো তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখের সামনেই প্রস্তুত ও উৎপাদন করা যাচ্ছে বেশ কয়টি ভাটার নাম ও পরিবর্তন করে ইট প্রস্তুত বা উৎপাদন করে আসছে।
ইটভাটার মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বললে জানান, ইটভাটা চালু করার আগে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদফতরের সাথে মিটিংয়ের মাধ্যমে ৪০০ মিটারের মধ্যে ইটভাটা চালু করা আইন পাস হবে কিন্তু এখনো গেজেট হয়ে আসেনি। গেজেট হয়ে আসলে কাগজপত্র জমা দেয়া হলে পরিবেশের ছাড়পত্র দিবে। আর এদিকে ভাটা ৪০০ মিটারের কমে থাকলে সেগুলো বন্ধ বা কোনো ছারপত্র দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, নিজেই হাইকোর্টে রিট করেনি এবং যাদের নামে মামলা আছে তারা হাইকোর্টের রিট করেছে। হাইকোর্ট থেকে রিটে কি ইট পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে কি না সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইকোর্ট থেকে ইট পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে।
নেত্রকোণা পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মতিন বলেন, গত বছর ৫২টি ইটভাটার মধ্যে ১২টি ভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এর মধ্যে এখনো ৩৩টি অবৈধ ভাটা রয়েছে, ৩৬টি ভাটার মামলা রয়েছে এবং সেগুলো হাইকোর্ট থেকে রিট এনেছে। তাছাড়া আদালতের নির্দেশনা পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস বলেন, বৈধ ইটভাটা ছাড়া অবৈধ ইটভাটার অনুমোদন দেয়া হয়নি। ইটভাটায় অভিযান শুরু করা হয়েছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে আনতে অব্যাহত থাকবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
